আধুনিকতার ভীড়ে নিজেকে খুব বেমানান মনে হয় আজকাল
প্রেমীয় অলিন্দের ভীড়ে আমি যেন সেই নয় নং লোকাল বাস।
মেটাল হিপ-হপ গানের অশালীন গালি-গালাজ আমার সাথে যায়না,
ছোটো কাপড়পরা মেয়েগুলো তাই আমাকে দেখে চোখ কুঁচকায়।
make out – এর যুগে আমি আমার মৃত প্রেম খুঁজে বেড়াই,
n70-ওয়ালা ইয়ো ছেলেটা তাই আমাকে দেখে বিদ্রুপ করে।
তোমাদের সন্ধ্যা যখন কাটে dejavu-র সীসা টেনে,
আমি তখন পানির গ্লাসে জল- জোৎস্না দেখি।
তোমরা যখন মদের টাকা জোগাড় করার জন্য চিন্তা কর,
আমি তখন টাকা জমাবো বলে হেঁটে বাড়ি ফিরি।
তোমরা যখন বাংলা ভাষাকে ধর্ষিত করে গান গাও,
আমি তখন মারফতি দিয়ে আত্ম-সাধন করতে চাই।
তাই বলে আমি ঈশ্বর ভক্ত নই, তবে অবিশ্বাসি-ও নই,
উনি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন, আবার কেড়েও নিয়েছেন অনেক।
তাই আর আধুনিক হতে ইচ্ছা করেনা, আধুনিকতার সংজ্ঞা কী?
হাতে গাড়ির স্টীয়ারিং থাকবে, পকেটে টাকা থাকবে, এইতো?
কি হবে এসবে? বোতল বোতল ভদকা পাবো, ওয়াইন পাবো
ওই বড়লোকের ব্যভিচারি মেয়েগুলোর সহবাস পাবো, তাইনা?
এর চেয়ে পতিতালয়ে গিয়ে বাসনা পূর্ণ করা কি ভালো না?
টাকাগুলো তাহলে ওই অনাহারি মেয়েগুলোর খাবার জোগাতো।
আমার এই কবিতা যদি সেইসব আধুনিক সন্তানদের হাতে যায়,
তাহলে তাদের সত্যি, সত্যি বাবাদের হাত থেকে আমি বাঁচবোনা।
কিন্তু আমি যে ভয় পাইনা, আমার গায়ে যে সেই লাল রক্ত,
আমি চিৎকার করে আজ বলতে পারি হে আমার আধুনিক সমাজ,
কালো টাকার কালো বাবাদের পৌরুষে জন্ম নেয়া
তোমরা সেই কালো জারজ সন্তান, তোমরা আমার দেশের গৌরব।
সূত্র_ অসজ্গায়িত
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন