আগের পর্ব
আমাদের এই নসিমন আর নষ্ট হয়না। আমরা একবারেই কুষ্টিয়া পৌঁছে যাই। আসার পথে আমরা
বিষাদসিন্ধু খ্যাত মীর মোশাররফ হোসেনের বসতভিটা দেখতে পাই। কিন্তু, ততক্ষণে আমাদের পেটের ভেতর ছুঁচো বুকডন করা শুরু করেছে!!
তাকে আর জ্বালাতে সাহস হলনা। তাই মীর সাহেবের বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি।
সোজা এসে নসিমন থামাই লালন সাঁইজির মাজারের সামনের গেটে। নেমেই পাশের একটি হোটেল না ঠিক খাওয়ার দোকান থেকে ভাত খাই। একটি কথা এখানে বলে রাখি.. কুষ্টিয়ায় যত জায়গায় ভাত খেয়েছি, সবখানেই ডালের বাটি পুরোটা নিয়ে আসে!! মাছের ডেকচি নিয়ে আসে!! আপনার পছন্দমত মাছ বেছে নিন!!
আর একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, এই দোকানগুলোর বেশিরভাগই ঘরোয়াভাবে পরিচালিত। বাসা থেকে রান্না করে সোজা দোকানে নিয়ে আসা হয়!!
ভাত খেয়ে কিছুটা স্বস্তি!! এরপর আমরা মাজারে না ঢুকে বাইরে দোকানে ঘুরতে থাকি। একতারা, দোতারা, বাঁশি, ঢোল, খঞ্জণীর সম্ভার!! আমরা তো এগুলো বাজাতে পারি না। তাই আর কী কিনি?? হাতে পরা যায় এমন কিছু সামগ্রী কিনলাম, যেগুলো ঢাকায় চারুকলার সামনে কিনতে পাওয়া যায় ১০-১৫ /- য়। কিন্তু কুষ্টিয়া বলে কথা। সবগুলোর দামই ২৫-৩০/-র উপরে। তাও শখ!! কিনেই ফেললাম!!