


যাত্রা শুরু ২৩ শে ফেব্রুয়ারি রাত ১১.৩০ টায়। স্থান গাবতলী বাস-স্ট্যান্ড হানিফ পরিবহন (সড়কপথে বিমনের ছোঁয়া!!)

হল থেকে গাবতলী যাবার পথে বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষকের সাথে পরিচয়। তার মাধ্যমে কোথায় উঠব, কোথায় কোথায় যাওয়া যায় এসব ব্যাপারে কিছু তথ্য জ্ঞান-ভান্ডারে জমা করলাম!! এই শিক্ষকের কথায় পরে আসব।
হানিফের বাস কাউন্টারের সামনে বসে আছি। সবাই কিছু না কিছু কেনা-কাটা করলাম। কেউ আঙুর, কেউ চিপস্, কেউ চুইংগাম!! কিন্তু আমরা কোন গাধাই পানি কিনলাম না। আফসুস!!/

এমন সময় টিকেট বিক্রেতা এলেন। শুরু হল ব্যাপক কথা-বার্তা!! আমরা লালনের মাজারে যাচ্ছি শুনে উনি খুব উত্তেজিত। আমাদের বার-বার বলে দিচ্ছেন, বাবার মাজারে গেলে গান শুনবেন। সিদ্ধি টানবেন!! কথা প্রসঙ্গে কবে উনি কতটুকু সিদ্ধি(!!) টেনেছিলেন এটাও বললেন। (তবে এতে তার কতটুকু সিদ্ধিলাভ হয়েছিল, এটা বলেন নাই


এরই মাঝে বাস এসে গেল। আমরা বাসে উঠে পড়লাম। একটু চলতেই আমরা বিমানের ছোঁয়া পেয়ে গেলাম!!

হঠাৎ বন্ধুদের ঠেলা-ঠেলি!! উঠ্-উঠ্। আমার কাঁচা ঘুম ভাঙছে। আমি পারলে ওগো গুষ্ঠি উদ্ধার কইরা দেই।

আমি আগে কখনো যাইনি। আগে কেবল টিভিতে বা পত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু ঠিক সেই মূহুর্তে কিভাবে যেন বুঝে যাই, এটিই সেই বিখ্যাত যমুনা সেতু। কতদিন চিন্তা করেছি, সেতু দেখতে যাব। কিন্তু যাওয়া হয়নাই। আর এখন যখন সেতুর উপর, তখন চারিদিকে অন্ধকার। তবু, সেই আঁধারের মাঝেই সেতুর স্ট্রিট লাইটগুলোর আলোয় সেতুকে এত অপূর্ব লাগছিল, আমাকে ঘুম থেকে তোলার অপরাধ সাথে সাথে ক্ষমা!!

আমরা কুষ্টিয়া এসে পৌঁছাই ভোর ৪.৩০ টায়। কাউন্টারেই বসে থাকি। এরপর সকাল ৬টায় হঠাৎ খেয়াল হওয়ায় কুষ্টিয়াকে বেস্টন করে রাখা গড়াই নদীতে সূর্যোদয় দেখতে ভ্যানে করে রওয়ানা দেই।
অসাধারণ সব দৃশ্য। নিজে না দেখলে অনুভব করতে পারবেন না।
কিছু ছবি দিলাম। আমাদের বন্ধু সাকিব-এর তোলা আর কিঞ্চিৎ ফটুকশপ দেওয়া!
এখানে যে ব্রিজের ছবি, সেটি যমুনা সেতু না। এটি গড়াই সেতু।
পরবর্তী পর্ব
প্রথম প্রকাশ: ২-৩-'০৯ ইং
http://www.somewhereinblog.net/blog/muktoBoyan/28918881
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন