- এই শুন।
: কী?
- আমার না খুব ইচ্ছা। আমার খুব শখ..
: কী?
- নাহ্। থাক। লাগবে না।
: আরে বল না!!
- নাহ্।
: শুন। আমি বলি। তুমি এত লাজুক! তোমার আসলে মেয়ে হওয়া উচিত ছিল। আর আমি ছেলে। তাহলে ঠিক হত। তুমি সব সময় লজ্জা পাও। সবকিছু আমাকেই করতে হয়।
ছেলেটি মনে মনে আবারও লজ্জা পায়।
মেয়েটির অনেক গুঁতোগুতির পর সে বলতে শুরু করে..
- আমার খুব শখ..
- কোন একদিন..
(মেয়েটি চুপ করে শুনতে থাকে।)
- আমি আর তুমি এমনি করে বসে থাকব।
- তুমি পা ছড়িয়ে বসবে। আমি তোমার কোলে মাথা রেখে আকাশ দেখব। দেখতে দেখতে এক অনাগত দিনের সুখ স্বপ্নের মায়াজাল বুনব। স্বপ্নের ঘোরে আমার দু'চোখ বুজে আসবে। তবু আমি স্বপ্ন দেখতেই থাকব।
: হমম।
- তুমি হঠাৎ চুপটি করে আমাকে একটা চুমু দেবে। তবুও আমার স্বপ্ন ভাঙবে না।
- তুমি আমার চুল ধরে টানাটানি শুরু করবে। আমি রেগে উঠে রক্তলাল চোখে তোমার দিকে তাকাব। কেন আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলে?
তুমি তখন তোমার সেই মিষ্টি হাসি হেসে আমার দিকে তাকাবে।
- আমার সমস্ত রাগ দূর হয়ে যাবে। আমি তোমার মুখ পানে তাকিয়ে থাকব। শুধুই তাকিয়ে থাকব। তোমার পেছনে তখন সূর্যাস্ত। রাঙ্গা আলোয় আমরা দু'জন দু'জনার চোখে চোখ রেখে নি:শব্দে বসে থাকব।
ছেলে-মেয়ে দু'টি বসে ছিলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই বালুর চর নামক একটি জায়গায় একটি ছোট পাহাড়ের উপর হাটু মুড়ে।
মেয়েটি হঠাৎ পা ছড়িয়ে ছেলেটির দিকে এক অদ্ভুত ঘোর লাগা চোখে তাকাল। ছেলেটির দৃষ্টি তখন তাকে ছাড়িয়ে ঐ সুদূরের সূর্যটার দিকে। সূর্য তখন পাটে বসেছে..
প্রথম প্রকাশ: ১১-১-'০৯ ইং
http://www.somewhereinblog.net/blog/muktoBoyan/28895850
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন