ব্যাপারটা কেমন যেন একটু খেলো হয়ে যায়, কেন এই ১টি দিনেই শুধু নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো?? নিত্য অসম্মানের যে যন্ত্রণা তারা আমাদের অগোচরেই বয়ে বেড়ান, সেটা থেকে কি উত্তোরণ ঘটানো যায় না??
দৈনিক ১২ ঘন্টা পরিশ্রম, নিম্ন মজুরি, অমানুষিক নির্যাতন ও খাদ্যের অভাবের প্রতিবাদে ১৮৫৭ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নারী শ্রমিকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ১৮৬০ সালে গঠিত হয় নারী ইউনিয়ন। স্বীকৃতি পায় নারী সংগ্রাম। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ৮ই মার্চকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেন জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা জেৎকিন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
যে বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা সংগ্রাম করেছিলেন, আমাদের দেশে নারী শ্রমিকের অবস্থা কি তার থেকে এতটুকু পাল্টেছে?? এখনও কি তারা ন্যায্য মজুরি পান? এখনও কি তারা পুরুষদের চেয়ে বেশি শ্রম অল্পমূল্যে বিক্রি করছে না? এখনও কি তারা তাদের কর্মস্থলে নিরাপদ? এখনও কি তারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেনা??
তাহলে এই নারী দিবসের স্বার্থকতা কি?? একটি দিন.. যে দিন পত্রিকার পাতায় কিছু বড় বড় মানুষের বাণী থাকবে, একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করে পত্রিকাগুলো পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়াবে? টিভি'র পর্দায় কিছু পরিচিত নারীমুখ কয়েকজন নারী'র সাথে কথা বলবেন, বহু ব্যবহারে জর্জরিত কিছু পুরনো কথাই আবার কপচাবেন।
কিন্তু, যে মহিলাটি তার স্বামীর চিকিৎসার টাকা জোগাতে দু'মাসের শিশুটিকে নিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করতে গিয়ে গরমে দগ্ধ হবেন? যে মহিলাটি রাস্তার পাশে মাটি কাটতে কাটতে খুব ক্লান্ত হয়ে একদন্ড জিরোবার অবসর পাবেন না?? যে তরুণীটি আজ রাতে তার ঊর্ধতনের বিকৃত লোলুপতার শিকার হবেন?? কিংবা যে কিশোরী প্রতারিত হয়ে রোজকার মত আজও ৫/৭ কিংবা ১০ জন খদ্দেরের ক্ষুদা মেটায়?? তাদের জন্য কী নিয়ে এল আজকের নারী দিবস??
আসুন, তার চেয়ে বরং আমরা গান শুনি..
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে, শোন শোন পিতাআর তাদের জন্য একটু সমবেদনা জানাই.. আর মনে মনে ভাবি, কোথাও মাতা নেই, মাতাকে দিয়ে হবে না, মাতা কেবল স্নিগ্ধতার প্রতীক, তাকে কোমলতা আর পেলবতায়ই মানায়!! শেষ সম্বল পিতা!! তাই পিতাকেই মঙ্গল বারতা শোনাতে আহ্বান!!!
কহ কানে কানে, শোনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা
প্রথম প্রকাশ: ৮-৩-'০৯ ইং
http://www.somewhereinblog.net/blog/muktoBoyan/28921312
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন