দৃষ্টি আকর্ষণ: বিভিন্ন ব্লগে নানা সময়ের লেখাগুলো এখানে জমা প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকটি পাতা এখনো অসম্পূর্ণ। খুব শীঘ্রই সবকিছু সম্পন্ন হবে। ফিডব্যাক জানাতে পারেন এখানে।

২৮ আগস্ট, ২০১০

গানগল্প- ২ [এতদিনে ফুল কুড়ালাম, ভরল মনের ডালা]

"ধূচ্ছাই, ভাল্লাগে এসব? প্রতিদিন এই একই কাজ? একখানে বসে থাকা? বসে থাকতে থাকতে তো আমি মাটির সাথেই লেপ্টে যাব! কোনদিন দেখবো, আমি নিজেই মাটিতে শিকড় গেঁড়ে ঢুকে গেছি! ধূর! আর করবো না। আজই শেষ।” আনমনে গজগজ করতে থাকে লাবণ্য। তারপর পাশের রান্নাঘরে বসে থাকা মা'কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে থাকে, "কেন বাবা, আর কেউ নেই? আমিই কেন রোজ রোজ এই কাজ করবো? আর কেউ নেই? একটু ঘুমাতেও দেবে না, সাত সকালেই ঘুম ভাঙিয়ে দেবে! আমি মনে হয় পেটের সন্তান না। তাই এত অবহেলা। নিজের মেয়ে হলে ঠিকই ঘুমাতে দিতো।"

মেয়ের ক্রমশ: একলা কথা চালিয়ে প্রতিভায় আর কেউ মুগ্ধ না হোক, রজত বাবু অসম্ভব মুগ্ধ। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তার প্রথম সন্তান কি হবে, সেটা নিয়ে সবার মাঝেই প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। সেই সন্তান ছেলে হলে যেমন আদরে আদরে ঘিরে থাকতো, তার কিছু মাত্র কম পায়নি মেয়ে হয়ে লাবণ্যও। এর একটা বড় কারণ হতে পারে লাবণ্যর বড় পিসির অনুপস্থিতি, যিনি মাত্র দেড় বছর বয়সে মুখে একটি মাত্র দাঁত সম্বল করে চকিত হাসিতে সবার মায়া কেড়ে স্বার্থপরের মত সবাইকে কাঁদিয়ে নাই হয়ে যান।
মেয়ের এই অবিরত কথার তোড়ে ঘুম ভেঙে ঢুলুঢুলু চোখে বারান্দায় সূর্যপ্রণাম সেরে ঠাকুরঘরে উঁকি দেন রজত বাবু। লাবণ্য সেখানেই বসে বসে মায়ের সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছে। মায়ের সাথে কথা চালানো ব্যাপারটা ঠিক যুৎসই না লাগলে এটা বলা যেতে পারে, ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে যাচ্ছে। মা চুপচাপ সবজিগুলো কেটে- কুটে রাখছেন একটু পরেই রান্না চড়াবেন বলে আর লাবণ্য একা একাই কথা বলে যাচ্ছে। বাবার গলা শুনে ঘাড় আলতো বাঁকিয়ে চোখের কোণা দিয়ে তাকিয়ে দেখে। বাবাকে দেখতে পেয়েই খুশিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে চোখ- মুখ। অসম্ভব রূপসী ষোড়শী মেয়েকে দেখে রজত বাবুর আপনাতেই কেমন যেন গর্ব হতে থাকে। এত চমৎকার মেয়ে তার। সারা দিন কথায় মুড়ে রাখে ঘরটাকে। যতক্ষণ বাসায় থাকে চারদিক যেন আলোয় ঝলমল করতে থাকে তার রূপলাবণ্যের ছোঁয়ায়। মাঝে মাঝে একটা চিনচিনে ব্যাথা অনুভূত হয় রজতবাবুর বুকের বাম দিকটায়। এত প্রিয় মেয়েকে পরের ঘরে তুলে দিয়ে একা কি করে থাকবেন তিনি? ঘুমই বা  ভাঙবে কার কিচিড়- মিচিড়ে?

গান গল্প- ১ [চাঁদের ঐ আলো হয়ে আসো মোর ভাঙ্গা ঘরে..]

এমন একটা সময় ছিল, যখন খুব করে তোমার সান্নিধ্য পেতে চাইতাম। এখনও চাই, হয়ত। কিন্তু, তোমার কাছে পাত্তা পাই না। তোমার সময় হয় না, তুমি সারাদিন ব্যস্ত থাকো। আগের কাজগুলো থেকে মুক্তি পেয়েও তোমার ব্যস্ততা কমেনি, বরং আমাকে আগে যে সময়টুকু দিতে, সেখানেও এখন অনেক ভাগিদার। তুমি এখন কত বড়, কত বিস্তৃত তোমার পরিধি।
আর আমি? আমি সেই ঘরের কোণেই পরে রইলাম। সেই হুইল চেয়ারেই বসে থাকি। প্রায়ই জানলার পাশে অপেক্ষায় থাকি; যেভাবে তোমার- আমার প্রথম দেখা, প্রথম পরিচয়। মাঝে- সাঝে কারো করুণা হলে আমাকে ধরে ধরে নিচে নামিয়ে দেয়। আমি হাজারবার ঘুরে দেখা আমাদের সেই পুরোনো কলোনীটাকেই আবারও নতুন করে দেখি। নতুন করে আবিস্কার করার চেষ্টা করি। তুমি বিশ্বাস করবে, বললে? যতবার আমি কলোনীতে বেড়াতে বের হই, আমার কেন যেন এই অতি পরিচিত জায়গাটাকেই নতুন লাগে। প্রতিবারই যেন মনে হয়, আরে এই জায়গায় তো আগে কখনো আসা হয়নি। কলোনীর মাঝামাঝি যে একটা ডোবা মতন জায়গা আছে, সেখানে এসে প্রতিবারের মতই আবারও ভাবি, কি অসম্ভব সুন্দর এই জায়গাটা। এখানে কোন এক নিশুথ রাতে তুমি আমাকে নিয়ে আসবে আমার হাত ধরে। আমি নিজের পায়ে হেঁটে হেঁটে তোমার সাথে এখানে আসবো। শরৎকালে যখন সাদা কাশফুলে এই ডোবার চারপাশ ভরে ওঠে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। রোজ রোজ তো আর আসা হয় না, তাই একবার আসলেই সে জায়গার দৃশ্যগুলো মনের ক্যানভাসে এঁকে নিয়ে যাই। তুমি তো জানোই, আমি ছবি আঁকতে পারি। তাই, মনের দৃশ্যগুলোই আমার আঁকা ছবি হয়ে ফুটে ওঠে রং-তুলিতে।

বুয়েটিয়ান বলে সহানুভূতি চাই না। কেবল গালি না দেবার প্রতিশ্রুতি চাই।

কারো কাছে কেউ সহানুভূতি চাইতে আসে নাই। বুয়েটের ছেলে বলে তার প্রতি বাইরের কাউকে নাকি কান্নাও করতে বলে নাই। যারা কান্না করতেছে, দিন-রাত সারাবেলা ঐছেলেটার পেছনে দৌড়াইছে, বা তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবার হাতে তুলে দিছে তারাও কিন্তু ঐ ছেলেটার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছেলে।
বুয়েট বললে খুব সরলীকরণ হয়ে যায়, কিন্তু, তবুও এটা খুব গর্ব করেই বলতে পারি, এখনো আমাদের নিজেদের সাথে দেখা না হওয়া ১০/১২ বছর সিনিয়র কোন ভাই'র জন্য আমরা নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহে দৌড়াই, কিংবা জুনিয়র যে ছেলেটি মারা গেল, তার সাথে আখসান ভাই'র ব্যক্তিগত কোন পরিচয় না থাকা সত্ত্বেও যে অনুভূতি সেটা আমাদের সবারই। কোথাকার কোন খান জাহান, তার সাথে আমার হয়ত বুয়েট জীবনে কখনো দেখাও হত না, তার নাম জানারো কোন সম্ভাবনা ছিল না, তাও আমাদের এত কেন জ্বালা? কেন এই ছেলেটা মরেছে বলে সবাই এত হই-চই করে ওঠে, কেন আমাদের নিজের ভাই মৃত্যুর মত ব্যথা লাগে?
সহজ করে বলি... এটা আমাদের অনুভূতি। বুয়েট আমাদের ৪-৫ বছরে যন্ত্রে পরিণত করে অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু, তার সাথে যেটা দেয়, সেটা এই "বুয়েটিয়ান" পরিচিতি।

১২ এপ্রিল, ২০১০

ছেলেবেলার বোশেখী স্বপ্নমেলা

খুব ছোটবেলায় যখন আমরা গ্রামে থাকতাম, তখনকার স্মৃতি তেমন একটা মনে নেই। কেবল মনে আছে, একবার প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির মাঝে ধানক্ষেতের আইল পার হতে গিয়ে পায়ে বড়ই কাঁটা ফুটিয়ে ফেললাম। সে কি যন্ত্রণা। আমার যেটুকু ব্যথা, তার চেয়ে বেশি চিৎকার, তার সাথে মায়ের উৎকন্ঠ আর আমার বৃদ্ধা দিদিমার চারিদিকে ডাকাডাকিতে সারা পাড়া একাকার।
আমার স্কুল জীবন শুরু হয় শহরে। গ্রাম ছেড়ে চলে আসি। প্রতি বছর পরীক্ষা দিয়েই একমাসের বন্ধ। সোজা বাড়িতে দৌড় ছুটি কাটাতে। আসার সময় প্রতিবার মন খারাপ হওয়া। একটু একটু করে বড় হতে থাকি। শহুরে বন্ধু বাড়তে থাকে। তাদের সাথে সখ্যতা হয় আর এরই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ির প্রতি টান কমতে থাকে। এর একটা বড় কারণ ছিল এটাও, গ্রামের বিদ্যুতের অনুপস্থিতি। আর, কেন যেন প্রতি ঈদের ছুটিতেই বাবার গ্রামের বাড়িপ্রীতি অনাবশ্যক রকমের বাড়-বাড়ন্ত হয়! কত চিন্তা-ভাবনা করে রাখা, এবার এই এই নাটক দেখবো, এই সার্কাস দেখবো, কোথায় কি? সব ফেলে বসে থাকো। বিদ্যুৎই যেখানে নাই, সেখানে টেলিভিশন তো স্বপ্নলোকের ভাবনা। তাই, আর বাড়ি যেতে মন টানতো না। কিন্তু, তারপরও দেখা যেত বছর ঘুরে এপ্রিল এলেই আমরা সবাই আবারও গ্রামে!

ছোটবেলায় একটা খুব মজার ব্যাপার ছিল, গ্রাম থেকে থেকে  ফেরার সময় যাকেই পায়ে হাত দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে মাথা নুয়ে দিতাম, সে-ই বুকে জড়িয়ে নিতো, আর হাতে গুঁজে দিতো দু'টাকা- পাঁচ টাকার একটা কড়কড়ে নোট। বাধা নিয়ম। আমাকে এত আর ভাইয়াকে পাঁচ কিংবা দশ টাকা। খরচ হতো না। জমে যেতো। এই টাকার পরিমাণটা বেড়ে যেত পহেলা বৈশাখে।

৫ এপ্রিল, ২০১০

মামণিয়া

আজ পরীক্ষা ছিল। সারা বছর ফাঁকিবাজি। পরীক্ষার দু'দিন আগে তাই চোখে ঘুম নেই। তার উপর এই পরীক্ষা হল ব্যবসায় শিক্ষা সম্পর্কিত। গণিত সংশ্লিষ্ট হওয়া উচিত, গণিতের দেখা নেই, আছে কেবল মুখস্থ বিদ্যার চর্চা। যে যত মুখস্থ করতে পারবে, তারই জয়জয়কার। মুখস্থ করে গামলা ভর্তি কর, পরীক্ষা হলে গিয়ে সেটা উপুর করে ঢেলে দিয়ে আসো। গামলায় ফুটো, তো তোমার মাথায় বারি! আমারটা গামলা বলবো কিনা, তাই নিয়ে সন্দেহ, তার চেয়ে বলা ভালো চালুনি! যার সবটাই ফুঁটো! চোখ-মুখ বুজে মুখস্থ করে যাচ্ছি। দুই লাইন পড়ি, পরের লাইনে গেলে প্রথম লাইন ভুলে যাচ্ছি। একটা বিতিকিচ্ছিরি রকমের অবস্থা।

গেল সপ্তাহের মাঝে থেকে একটা সুসংবাদ পেয়ে মনটা বেশ খুশি খুশি। পৃথিবীতে নতুন অতিথি এসেছে। ফুটফুটে একটা গোলাপী নারী। আর সবাই এসেই যেমন সদম্ভে তার অস্তিত্ব জানান দেয় চিৎকার করে, সারা হাসপাতাল কাঁপিয়ে, সবাইকে হাসির কলরোলে মাতিয়ে, এ শিশু তেমন নয়। সে শুরু থেকেই চুপচাপ। মায়ের শরীরে যখন ছিল, তখনও তেমন জ্বালাতন করেনি, পৃথিবীর আলো গায়ে মেখেও সে চুপ। এক মিনিট যায়, দু' মিনিট যায়, এমনি করে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যায়। টুঁ শব্দও বের হয় না তার মুখ থেকে। সবাই একটু চিন্তিত হয়। চিকিৎসকরা আশ্বাস দেন, না, দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। বাচ্চারা মাঝে মাঝে এমন একটু আধটু করেই।

২ এপ্রিল, ২০১০

ব্লগার নিয়া অণুকাব্য!!

এক যে অরণ্য
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এক্কেরে বন্য;
গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে
যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেই ছাড়বে।

স্বপ্নজয় ভাই
কি সব পোস্টায়!!
তুই তোকারি'তে ভরা
প্রেমের গপ্প লেখে রাত জাইগা!!

চাঙ্কু রে নিয়া কি কমু?
তার কাছে কি বেইল পামু!!
"ভালোবাসা তুমি কুতায়??
ভাল বাসার সন্ধান কি এত সহজে পাওয়া যায়!!

ব্লগার নিয়া অণুকাব্য!!-২

শ্রদ্ধেয় মনজুরুল ভাই
তাকে বড় ভাল পাই
একজন মুক্তিযোদ্ধা
আর এখন ব্লগের এনসাইক্লোপিডিয়া!!

অক্ষর ভাই'র কথা বলব কি আর
অদ্ভূত সব মন্তব্য করায় জুড়ি মেলা ভার
’হাসতে হাসতে পরে গেলাম’
মনে হয় তার আবিষ্কার!!

অপ্সরা আপু আছেন যিনি
আফ্রোদিতি নামেও পরিচিত তিনি
তার ব্লগের নাম হ্ওয়া উচিত ছিল
”এসো, সকলে রান্না শিখি!!”

অকথনকথনপটিয়শস-তৃতীয় সংখ্যা

২৭ রবিউস সানি, ১৪৩০ হিজরি
২৪ এপ্রিল ১০, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
১১ বৈশাখ, ১৪১৬ বাংলা

সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত।

সম্পাদকীয়:
ব্যাপারটা ভাববার মতই – আক্কাস আলীর পুকুরের শোল মাছেরা গজার মাছকে ১৫দিনের মধ্যে পুকুর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে; যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে গজার রাক্ষুসে মাছ, তাদের কারণে ছোট নিরীহ প্রজাতির মাছগুলো পুকুরে সন্ত্রস্ত থাকে, সুতরাং গজার হটিয়ে সেখানে নিরীহ মাছদের অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করা হবে এমনটাই শোল মাছদের যুক্তি। যতদূর জানি, শোলও রাক্ষুসে মাছ, সেক্ষেত্রে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গজারকে হটিয়ে তারা কী উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে সেটা বুঝার জন্য মৎস্যবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই মোটেই। এদেশের নোংরা রাজনীতির হাওয়া পুকুরের তলদেশে মাছেদের মধ্যেও পৌছে গেছে, এটা ভেবে আতঙ্কিত হচ্ছি।

সে যা-ই হোক, আমাদের ১১৩৯টি নীতিমালার কয়েকটি আজও শেয়ার করছি ধারাবাহিকভাবে:

প্রতিকাব্য না!! অণুকাব্যই!!

১.
মিষ্টি হেসে মেরেছে ছুঁড়ে
ভালোবাসার বান;
আর বলছিস তোরা কিনা
"ওরে, antiseptic আন!!"

২.
"ভালোবাসি, ভালোবাসি
সেই সুরে কাছে, দূরে"
প্রেমিকা দেয় মিষ্টি হাসি
প্রেমিকের হয় পকেট খালি!!

অকথনকথনপটিয়শস- দ্বিতীয় সংখ্যা

২০ রবিউস সানি, ১৪৩০ হিজরি
১৭ এপ্রিল ১০, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
৪ বৈশাখ, ১৪১৬ বাংলা

সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত

সম্পাদকীয়:
প্রেস্টিজিয়াস ইস্যুই বটে, সম্পূর্ণ একটা সংখ্যা প্রকাশিত হল, অথচ ই-চপের কোন মূল শ্লোগান নেই! এ নিয়ে ব্যাপক বাক-বিতণ্ডা এবং চায়ের কাপে সিডোর তুলার পর অনেকগুলো শ্লোগান তৈরি করা হয়, কিন্তু মূল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন ঐক্যমত্যে পৌছুতে পারিনি আমরা- বাংলা ব্লগিংয়ের একমাত্র দিকপাল এই ই-চপের এমন শ্লোগানবিহীন অগ্রযাত্রা কোনভাবেই কাম্য হতে পারেনা, সুতরাং বিশেষ ক্ষমতাবলে এই সংখ্যার শ্লোগান নির্বাচন করা হল- ‘বদলাবো না, বদলা নেব’। তবে উগ্র ফ্যাসিস্টরা বদলাকে বদনা’তে পরিবর্তিত করে শ্লোগানকে বিকৃত করতে পারে, এমন আশঙ্কায় বদনা ছাড়্ আন্দোলনের অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছি ই-চপের সকল গ্রাহক ও শুভান্যুধায়ীকে। যাইহোক, আসমাপ্ত ১১৩৯টি খসড়া সম্পাদকীয় নীতিমালার কযেকটি গতসংখ্যায় উল্লেখ করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় এ সংখ্যায়ও কিছু নীতিমালা শেয়ার করছি:
৩. পুঁজিবাদের প্রতিভু ও ব্লগারদের মধ্যে শ্রেণীবৈষম্য সৃষ্টিকারী(?) স্টিকি পোস্টের তীব্র বিরোধী মনোভাব থেকে, ই-চপের কোন সংখ্যা স্টিকি হয়ে গেলে, তৎক্ষণাৎ সংখ্যাটি ড্রাফট করে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কাম্য।
৪. ব্লগারদের মেধা ও মননের বিকাশকে সহায়তা করতে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা পোস্টদাতাকে পুরস্কৃত করার মহা পরিকল্পনা আছে আমাদের। সাময়িকভাবে, পুরস্কার হিসেবে কয়েকঘন্টার মধ্যে প্রথম পাতায় একসেসের নিশ্চয়তায় আকর্ষণীয় নিক প্রদান করা হবে!!
৫. ব্লগীয় ও অন্যান্য দায়বদ্ধতা থেকে ব্যান তহবিল, ভবঘুরে সভা, ভাষা প্রতিযোগ, লুডু অলিম্পিয়াড প্রভৃতি পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে। এছাড়া দুস্থ ও নতুন ব্লগারদের উৎসাহিত করতে ই-চপ সংখ্যায় প্রাপ্ত মন্তব্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ তাদের ব্লগে পেস্ট করে হিট বৃদ্ধির বন্দোবস্ত করা হবে।

আজকের মত নীতিমালা এখানেই শেষ। ‘বদলাবো না, বদলা নেব’-শ্লোগানে নিরন্তর ছুটে চলবে ই-চপ, আপনাদেরই শুভকামনা অথবা অপবাদে সিক্ত হয়ে।

বাংলাদেশি পহেলা বৈশাখ ট্রেনে আর, বাঙালী পহেলা বৈশাখ বাসে!!

আগে যখন ঢাকায় থাকতাম না, তখন ভরসা ছিল টিভি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই টিভি চালিয়ে দিতাম ছায়ানটের অনুষ্ঠান দেখব। তখন শুধু ঢাকার অনুষ্ঠান দেখাত। হঠাৎ একবার জানলাম এবার চ্যানেল আই চট্টগ্রামের ডিসি হিলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান লাইভ দেখাবে। আমাদের গানের স্কুল থেকে ওখানে অংশগ্রহণও করছে। এবং, গানের দলের কোন এক ছোট-খাট অংশে আমিও আছি!! উত্তেজনায় আমার রাতের ঘুম হারাম!!;) পরদিন সুন্দরমত সেজে-গুজে গেলাম!! সবাইকে বলে দিলাম টিভিতে দেখাবে, দেইখো সবাই!! আমাদের স্কুলের সময় ছিল সাড়ে দশটায়। কিন্তু, আফসুস!! তখন নাকি খবর দেখানোর সময়। তাই, আমাদের স্কুলকে আর দেখানো হবে না। তারা সব গুছিয়ে চলে গেল আমাদের চোখের সামনে দিয়ে!! :((

এর অনেকদিন পর, ঢাকায় আছি প্রায় ৩ বছর। এর মাঝে পয়লা বৈশাখ করলাম মাত্র গতবার। এবার আগে থেকেই ঠিক করে রাখলাম ঢাকায় থাকব, দুপুরে-বিকেলে ব্লগার আড্ডায় যাবো, সারাদিন টো-টো। উনার সাথে কথা বলা ছিল, এবার পয়লা বৈশাখে আসা হবে না। টিউশনি নাই, তাই এবার আর গিফট-ও নাই!! #:-S
হঠাৎ, গত সপ্তাহের শুরু থেকে কি হল.. "আসতেই হবে, তোমাকে আসতেই হবে। কিছু জানি না। আসবা, আসবা, আসবা।" :-&
[খট করে লাইনটা কেটে মোবাইটা অফ করে দিল। :(]

৩১ মার্চ, ২০১০

অকথনকথনপটিয়শস - সংখ্যা ১

১৩ রবিউস সানি, ১৪৩০ হিজরি
এপ্রিল ১০, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
২৭ চৈত্র, ১৪১৫ বাংলা

সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত

সম্পাদকীয়:
প্রাচীন চিরন্তন রীতি অনুযায়ী প্রথমসংখ্যার সম্পাদকীয় হবে সেইরকম জম্পেশ কিছু, বা কেউ কেউ হয়ত ভাবছিলেন আমাদের লেখা পড়ে হাসতে হাসতে এন্টাসিড খেতে হবে পেটের পীড়া কমাতে। অন্তত এই সংখ্যায় সেসব কিছুই হচ্ছেনা সেটা নিশ্চিত, কারণ আমরা মাইন্ড করেছি। কেন মাইন্ড করেছি, কার উপর করেছি সেটা প্রকাশ করে আর আপনাদের মাইন্ডের কারণ হতে চাইছিনা।

কবিতা জন্মের ইতিহাস (প্রতিকবিতা)

বহুদিন পর সকালে
খাতা আর কলম হাতে
আমি বসেছি জানালা খুলে।

মনের জানালায় নিত্য উঁকি দিয়ে দেখা
চৌকাঠ ডিঙিয়ে একটু আগ্রাসী পদক্ষেপ
দেয়াল ভেঙে দেয়ার প্রচেষ্টা
অভিমানী আবেগের লুকোচুরি, আনাগোনা।

বদলে যাও, বদলে দাও!!

আমি, জনাব মতিয়ার বহমান, দৈনিক শেষ অন্ধকার পত্রিকার সম্পাদক, এই মর্মে শপথ করিতেছি যে,

  • আজ হইতে বিজ্ঞাপনের ভারে পত্রিকা জর্জরিত করিব!!
  • আজ হইতে বিজ্ঞাপন পাইতে সুবিধা হয়, এই জন্য মোবাইল কোম্পানীগুলার বেশি বেশি গুণগান করিব!!
  • আজ হইতে অধিক বিজ্ঞাপনের জন্য পৃষ্ঠা সংখ্যা আরও বাড়াইয়া দিব!!
  • ইহা ব্যতিত, সত্য সংবাদ জানা সত্ত্বেও ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি/ ব্যক্তিবর্গের হইতে অর্থপ্রাপ্তির লোভে তাহা প্রকাশ করিব না!!
  • ইহা ব্যতিত, কোন একটি বিশেষ ঘটনা হইতে সকলের দৃষ্টি সরাইতে সমকালীন ঘটনার সাথে সম্পর্কহীন কোন ঘটনা নিয়া দুই পৃষ্ঠা ব্যাপি ফিচার করিব!!

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে একটি স্বাধীনতার গান

যশোর, খুলনা, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, বরিশাল, নোয়াখালি
তারা হিন্দু নয়, মুসলিম নয়, তারা শুধু বাঙালী
রক্তনেশায় উঠিছে মাতিয়া, খেলিতেছে তারা হোলি
অবাক নয়নে দেখছে বিশ্ব, দিচ্ছে কেমনে প্রাণ
বোমারু বিমান, মেশিনগান তুচ্ছ করি তামাম
কদম কদম এগিয়ে চলিছে, গাহি মুক্তির গান
"জয় বাংলার গান"।

এসো মুক্তিদলের সাথী, ওরে মুক্তিদলের সাথে
আগুয়ান হও আগুয়ান, সবে আগুয়ান, সবে আগুয়ান, সবে আগুয়ান।

[শিরোনামহীন গল্প]

"ঠাস! ঠাস!! ঠাস!!!"
পরপর তিনটা চড়ের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে মর্জিনা'র। এটা এমন কিছু নতুন না। তাই খুব একটা চিন্তিত না হয়ে পাশ ফিরে আবারও ঘুমের আয়োজন করে সে।
"আহ্!!"
এবার কুতকুতে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করে সে ঘটনা কী??

রোজকার মতন আজও জাহাঙ্গীর কিছুটা টলছে। এটা একেবারে নিত্যকার ঘটনা। রোজ রাত করে সে ফিরবে, রাহেলা'র আধেক ঘুম ভাঙিয়ে শারীরিকভাবে চাইবে। রাহেলা মানা করবে, কিছুটা জোর-জবরদস্তি হবে। এরপর চড়-থাপ্পর। সূর্য যেমন পূবে উঠে, পশ্চিমে অস্ত যায়, ঠিক তেমনি জাহাঙ্গীরের রাতের আক্রোশ ভোর হতে না হতেই সোহাগে পরিণত হয়!!

আওয়াজ ভাঙার বাঁধ, (অলিখিত!!) নীতিমালা [ব্লগ বয়স ৩ মাস+ পোস্ট!!]

বি.দ্র: এই লেখাটি একটি ব্লগের পরিচালনা নীতির সাথে দ্বিমত পোষণ করে লেখা। যেখানকার ব্যাপার সেটা নিয়ে সেখানেই আলোচনা শ্রেয়। তাই, এই পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।


ব্লগারদের উদ্দেশ্যে আওয়াজ ভাঙার বাঁধ এর নীতিমালা দেওয়া হইল । আনুমানিক বিগত বৃহস্পতিবার(১৩ই ফেব্রুয়ারি) থেকে এই নীতিমালা কার্যকর করা হইয়াছে বলিয়া প্রতিয়মান হয়!!


১. সাধারণ নিয়ম এবং প্রত্যাশা:

মনপুরায় মন পুড়ল..

এতদিন চিল্লা-চিল্লি করলাম, মনপুরা দেখা হয়নাই বলে। কাউকে সঙ্গে পাচ্ছিলাম না, আবার একলা যেতেও মন চাইছিল না। তাই, দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইলাম হিমালয় আর শম্পা'র লেখা থেকে। কাল নিজেই দেখে এলাম অবশেষে।!:#P
আগে দুই দিন গিয়ে ফিরে আসছি, তাই কাল ঠিক করলাম শেষ শো দেখব। বলাকায় রাত ৯.০০টার। তাড়াতাড়ি যাই। ঠিক ৭টায় পৌঁছে জানলাম টিকেট দেওয়া হবে আধঘন্টা আগে। কাজেই দেড়ঘন্টার ঘোরাঘুরি নিউমার্কেটে!!X(
সিনেমা শুরু হয় ৯টায়। ২ ঘন্টা ৩২ মিনিটের ছবি।

প্রথম থেকেই আমরা ৪জন খুব হাসাহাসি মুডে!! এটা দেখে হাসি, সোনাইকে যথন মনপুরা'য় নামিয়ে দিয়ে গাজী সাহেব ইঞ্জিন লাগানো নৌকা নিয়ে ফিরছেন তখন নৌকায় আরও দু'টি প্রপেলার লাগিয়ে কিভাবে এটিকে না ঘুরিয়ে আড়াআড়ি অবস্থায়ও চালানো যায়; সেটি নিয়ে গবেষণা, সোনাই'র গেঞ্জি দেখে হাসি, পরী'র শাড়ি পড়ার ঢং দেখে কিঞ্চিৎ বাংলা সিনেমার প্রতি ইংগিত করে হাসি!!;)

কুষ্টিয়া ভ্রমণ- পর্ব ৪

আগের পর্ব

কথামত আমরা সবাই থেকে গেলাম সেদিন কুষ্টিয়াই। বিকেলের টিফিন খেয়ে আমি, এক বন্ধু আর জিলা স্কুলের পিচ্চিটা মিলে ঘুরতে বের হলাম কুষ্টিয়া শহর। গেলাম পৌরসভা। খুবই সুন্দর একটি পরিবেশ। ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে বিজয়উল্লাস নামে একটি স্মৃতিস্মারক। সেখানে একটি জাদুঘর আছে। যদিও দেরি হয়ে যাওয়ায় আর সেখানে ঢুকতে পারিনি। বাইরেই খুব সুন্দর কিছু টেরাকোটা'র কাজ রয়েছে। এরপাশেই রয়েছে একটি সোডিয়াম ল্যাম্প। জনশ্রুতি রয়েছে, এটি বাংলাদেশের প্রথম সোডিয়াম বাতি। একটু এগুলেই পৌরসভা অডিটোরিয়াম; এখনও নির্মাণাধীন। এর বাম পাশ দিয়ে এগুলেই একটি পুকুর। এটিই হল কুষ্টিয়ার মূল আড্ডাস্থল। পাড়েই একটি বটগাছ। চারপাশ বাঁধানো বেদী। এখানেই পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাগুনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো হয়। পৌরসভা থেকে বেড়িয়েই গেলাম কুষ্টিয়া শহররক্ষা বাঁধ দেখতে। ইংল্যাণ্ড শাসনামলের সাবেক এক মেয়র রেন উইক সাহেবের কীর্তি এটি।:)

নারী দিবসের আদৌ প্রয়োজন আছে কি আমাদের দেশে??

আজ ৮ই মার্চ। আজ বিশ্ব নারী দিবস। যে মায়ের শরীরে আমাদের জন্ম, যে মায়ের মাধ্যমে আমাদের বেড়ে ওঠা, যে দাদী, নানী'র কোলে বসে রূপকথার গল্প শোনা, যে পোশাকশিল্পী মেয়েটির শ্রমে আমাদের গার্মেন্টস ব্যবসা'র এমন রমরমা অবস্থা, যে স্ত্রীর হাতে হাত রেখে আমাদের সারা জীবন পার করা.. আজ একটি দিন তাদের জন্য। আজ কোন কাজ নয়, আজ শুধুই তাদের জন্য শ্রদ্ধাবনত চিত্তে তাদের কাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
ব্যাপারটা কেমন যেন একটু খেলো হয়ে যায়, কেন এই ১টি দিনেই শুধু নারীদের প্রতি সম্মান দেখানো?? নিত্য অসম্মানের যে যন্ত্রণা তারা আমাদের অগোচরেই বয়ে বেড়ান, সেটা থেকে কি উত্তোরণ ঘটানো যায় না??
দৈনিক ১২ ঘন্টা পরিশ্রম, নিম্ন মজুরি, অমানুষিক নির্যাতন ও খাদ্যের অভাবের প্রতিবাদে ১৮৫৭ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নারী শ্রমিকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ১৮৬০ সালে গঠিত হয় নারী ইউনিয়ন। স্বীকৃতি পায় নারী সংগ্রাম। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ৮ই মার্চকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেন জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা জেৎকিন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

কুষ্টিয়া ভ্রমণ- পর্ব ৩ [লালন সাইজি'র মাজার পর্ব]

আগের পর্ব

আমাদের এই নসিমন আর নষ্ট হয়না। আমরা একবারেই কুষ্টিয়া পৌঁছে যাই। আসার পথে আমরা বিষাদসিন্ধু খ্যাত মীর মোশাররফ হোসেনের বসতভিটা দেখতে পাই। কিন্তু, ততক্ষণে আমাদের পেটের ভেতর ছুঁচো বুকডন করা শুরু করেছে!!X( তাকে আর জ্বালাতে সাহস হলনা। তাই মীর সাহেবের বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি।:(( সোজা এসে নসিমন থামাই লালন সাঁইজির মাজারের সামনের গেটে। নেমেই পাশের একটি হোটেল না ঠিক খাওয়ার দোকান থেকে ভাত খাই। একটি কথা এখানে বলে রাখি.. কুষ্টিয়ায় যত জায়গায় ভাত খেয়েছি, সবখানেই ডালের বাটি পুরোটা নিয়ে আসে!! মাছের ডেকচি নিয়ে আসে!! আপনার পছন্দমত মাছ বেছে নিন!!B-) আর একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, এই দোকানগুলোর বেশিরভাগই ঘরোয়াভাবে পরিচালিত। বাসা থেকে রান্না করে সোজা দোকানে নিয়ে আসা হয়!!
ভাত খেয়ে কিছুটা স্বস্তি!! এরপর আমরা মাজারে না ঢুকে বাইরে দোকানে ঘুরতে থাকি। একতারা, দোতারা, বাঁশি, ঢোল, খঞ্জণীর সম্ভার!! আমরা তো এগুলো বাজাতে পারি না। তাই আর কী কিনি?? হাতে পরা যায় এমন কিছু সামগ্রী কিনলাম, যেগুলো ঢাকায় চারুকলার সামনে কিনতে পাওয়া যায় ১০-১৫ /- য়। কিন্তু কুষ্টিয়া বলে কথা। সবগুলোর দামই ২৫-৩০/-র উপরে। তাও শখ!! কিনেই ফেললাম!!;)

কুষ্টিয়া ভ্রমণ- পর্ব ২ [শিলাইদহ পর্ব]

আগের পর্ব

ভ্যানে করে আমরা এসে পৌঁছি গড়াই সেতুতে। সেখানে সূর্যোদয় দেখে প্রচুর পরিমাণ ছবি তুলে রওয়ানা হলাম শিলাইদহের পথে। তখনও আন্দাজ নেই কতদূর। যেতে কতক্ষণ লাগে!! হাঁটছি তো, হাঁটছিই। থামাথামি নাই!! এক লোককে জিজ্ঞেস করলাম। বললেন, এই তো আর ১০ মিনিট গেলেই আলাউদ্দিন নগর। সেখান থেকে রিকশা/ ভ্যান। আমরা ১০ মিনিটের জায়গায় ৩০ মিনিট হাঁটার পরও আলাউদ্দিন সাহেবের নগরের দেখা পেলাম না। :( এক দোকানে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, কতদূর? আবারও উত্তর, "এইতো ১০ মিনিট"!!
আমরা এবার বুঝে গেছি, আরও দূর আছে ভালই। হাঁটতে হাঁটতে একটা ভটভটি( শুদ্ধ ভাষায় নসিমন) পেয়ে গেলাম। দেরি নাই। সাথে সাথে লাফিয়ে উঠে পরলাম।
চলতে লাগল নসিমন। সে এক ভয়াবহ যাত্রা!! একটু যায়, ইন্ঞ্জিন যায় বন্ধ হয়ে।:( আমরা সবাই নেমে পড়ি। চালক ঠিক-ঠাক করে ইন্ঞ্জিন আবার স্টার্ট দেয়। আমরা ছয-ছয়টা হবু ইন্ঞ্জিনিয়ার বসে বসে চালকের এই কাজ দেখতে থাকি। আর জ্ঞানীর মত পরামর্শ দিতে থাকি, এই রডটা আর একটু চিকন হলে, এই শ্যাফটটা এভাবে বসানো হলে.. ইন্ঞ্জিনিয়ার বলে কথা!!! ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও তো ধানই ভানে!! ;)

কুষ্টিয়া ভ্রমণ- পর্ব ১ [যাত্রা হল শুরু]

আমাদের পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। এবার পরিকল্পনা ছিল বন্ধে নেপাল যাব। এই পরিকল্পনা গত জানুয়ারির। কিন্তু, কাজের বেলায় দেখা গেল টাকা নাই কারোরই!!:( তাই, পরিকল্পনা পরিবর্তিত। দেশেই যাওয়া হবে কোথাও। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগ থেকে সুন্দরবন যাওয়ার একটা ব্যবস্থা করা সম্ভব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটাও ভেস্তে গেল!! হঠাৎ কি এক কথা প্রসঙ্গে উঠল কুষ্টিয়ার কথা। ঘরপোড়া গরু। সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পাই!! এবার সাথে সাথে লাফিয়ে উঠলাম। না, এবার কুষ্টিয়া যাবই, যাব।B-) যাওয়ার দিন হঠাৎ আবার পরিকল্পনার পরিবর্তন। যেদিন যাওয়ার কথা, সেদিন না। ২ দিন পরে যাওয়ার প্রস্তাব। ছেলেপিলের মাথা খারাপ করে একরকম জোর-জবরদস্তি করেই যাওয়ার দিন না পিছিয়ে নির্দিষ্টদিনেই সবাইকে রাজি করিয়ে বাসের টিকেট কাটালাম।:)
যাত্রা শুরু ২৩ শে ফেব্রুয়ারি রাত ১১.৩০ টায়। স্থান গাবতলী বাস-স্ট্যান্ড হানিফ পরিবহন (সড়কপথে বিমনের ছোঁয়া!!);)
হল থেকে গাবতলী যাবার পথে বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষকের সাথে পরিচয়। তার মাধ্যমে কোথায় উঠব, কোথায় কোথায় যাওয়া যায় এসব ব্যাপারে কিছু তথ্য জ্ঞান-ভান্ডারে জমা করলাম!! এই শিক্ষকের কথায় পরে আসব।

মাগো ভাবনা কেন? আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে/ তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি..

গত কয়েকদিন ধরে সব জায়গায় একটা বিষয়েই আলোচনা, একটাই কথা। বিডিআর- সেনাবাহিনী সংঘাত!!
আমি সাধারণ মানুষ। আমি জানিনা, কে বিডিআর, কে সেনাবাহিনী। আমি জানিনা কি করে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য বিডিআর হয়। আমি জানিনা কে ভাল, কে মন্দ। আমি শুধু এটুকু জানি, আমার দেশের যখনই কোন ধরনের সংকটকাল উপস্থিত, তখনই সেনাবাহিনী রাস্তায়। যখন আমার দেশের মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে ভেসে যায়, তখনই বিডিআর সাহায্যের হাত বাড়ায়। আমি জানি, একাত্তরে ইপিআর-র ভূমিকা। আমি জানি, তখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী গঠনের কথা। আমি জানি যেকোন বিপর্যয়ে সেনাবাহিনী, বিডিআর আর এই দেশের সাধারণ মানুষ হাতে হাত রেখে কাজ করে। সবাই ভাই-ভাই।

কিন্তু গত কয়েকদিনের মাঝেই হঠাৎ সব এলোমেলো হয়ে গেল। যে বিডিআর সৈনিকদের উপর আমার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ভার নিয়োজিত, তারাই আজ হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠল। তারাই আজ গুলি চালাল দেশের স্বাধীনতা রক্ষাকারী আর এক বাহিনীর উপর।

৮২৩ কিংবা ৮০০টি স্বপ্ন বা একটি স্বপ্নভঙ্গের কাহিনী

এই পোস্টটা দেয়ার কথা ছিল পরশু। তাহলে এটি অনেক অর্থবহ হত। যাই হোক এত না পেঁচিয়ে সোজা-সুজি বলে দিই।
গত পরশু ছিল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাচ-এর শেষ পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ। তারা এখন ইঞ্জিনিয়ার। হয়ত, কয়েকজন টিচার হবে, তাই তারা বাদে বাকি মোটামুটি ৮০০ জন চাকরিতে ঢুকে যাবে। কেউ হয়ত নিজেদের প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করবে। তাদের সবার জন্য শুভকামনা।
এতদিন সবাই খুব খুশি। এই পচাঁ জায়গা থেকে মুক্তি। এখন যাবারবেলায় সবার মাঝে অনীহা। সবার মন খারাপ। পরিচিত জায়গা, পরিচিত হল, পরিচিত মুখ- সবার কাছ থেকে দূরে চলে যেতে হচ্ছে। যতই হাসি-খুশি, তবু ঠিক-ই মনের মাঝে কেমন একটা সুতো ছেঁড়ার বেদনা। এই বেদনাটা মনে হয়, প্রথম যখন বাসা থেকে এসে হলে উঠে তখনকার সাথে কিছুটা মিল আছে। আমি জানি না। আমার এখনও এই অনুভূতি হয়নি!!

ওঁ নম: মানব জনম/ ওঁ সর্ব ত্রুটি ক্ষম..

আমি জীবনে যে কয়েকটি জিনিস ভয় পাই তার মধ্যে রক্ত একটি। যদিও নিজেকে খুব সাহসী বলে দাবি করি তবুও ছোটবেলায় রক্ত পরীক্ষা দিলেই আমার হার্টবিট বেড়ে যেত, প্রচণ্ড ঘাম শুরু হত। একবার ডাক্তারের চেম্বারেই এমন ঘাম শুরু হয়ে গেল উনি আমার দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে যান। এখানে মূল বিষয়টি বলে রাখি, মূল ভয়টি রক্ত নিয়ে না, মূল সমস্যা সূঁচে। সে ভয় কিভাবে গেল এটা অন্য প্রসঙ্গ। অন্য কোন দিন বলব। :)
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। হলে উঠলাম। প্রথম দিনেই যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ হল সেখানে যথারীতি এল রক্তদান প্রসঙ্গ। এতদিন শুঘু সিনেমায় দেখেছি নায়ক নায়িকাকে, মা-কে রক্ত দেয়। তখন-ও জানতাম, যে রক্ত দেয় তার রক্তের ব্যাগটি তার থেকে উপরে ঝুলন্ত থাকে!!
যাই হোক, কয়েকদিনের মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদাতাদের সংগঠন থেকে এসে সবার রক্তের গ্রুপ, নাম, মুঠোফোন নম্বর নিয়ে গেল। আর সাথে জানিয়ে গেল পরদিন আমাদের জন্য নবীনবরণ। তখন নতুন এসেছি। যেকোন অনুষ্ঠান হলেই যাই। নবীনবরণ মানেই খাওয়া-দাওয়া। এইটা মিস করা যায়?? =p~

কাজলা দিদি

অনেক দিন খুঁজে এই কবিতা সংগ্রহ করা। মন খারাপ হলেই এই কবিতা আমি পড়ি। কিছুদিন আগে গানের লিংক খুঁজে পাই। নিজের জন্যই এখানে জমিয়ে রাখা।
কাজলা দিদি
যতীন্দ্রমোহন বাগচী

বাশঁ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলাদিদি কই?
পুকুর পাড়ে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই।
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলাদিদি কই?

ঐতিহ্য রক্ষার পথে আর এক ধাপ!!

এখন পরীক্ষা চলছে। তাই ঠিক করেছিলাম, পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন পোস্ট করবনা। শুধু পোস্ট পড়ব, আর ১-২টা মন্তব্য করব। কিন্তু আজ ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা হাতে নিয়ে একটা সংবাদ পড়েই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।

সংবাদটা হবহু তুলে দিলাম:

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মাকড়াই গ্রামের ৩৩ শতকের মাঠটি এত দিন ফাঁকাই ছিল। সবাই জানে, এটা কান্তজিউ মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি। কিন্তু গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ করে ওই মাঠে দুটি টিন-চাটাইয়ের ঘর ওঠে। সামনে বাঁশের খুঁটিতে একটি সাইনবোর্ড বসে। তাতে লেখা ‘শান্তিবাগ আল হেরা নূরানী তা’আলীমূল কুরআন মাদ্রাসা’। অর্থাৎ মাদ্রাসার নামে কান্তজিউ মন্দিরের জমি দখলের প্রক্রিয়া।
কথিত মাদ্রাসা কতৃপক্ষের দাবি, তারা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই জমি কিনেছে। ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি প্রশাসন থেকে ওই জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ভূমি আইন অনুযায়ী মন্দিরের জমি দেবোত্তর সম্পত্তি। তা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া যায় না। আবাদের জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের ইজারা দেওয়া যায়। বিক্রিও করা যায় না।

গর্ভে ধারণ অস্থির বচন/ মাঝে কিছুক্ষণ বিশ্বাসপ্রবণ (কথোপকথন- ৩)

: ভাই.. আপনার সাথে একটু কথা বলতে চাই।
- কী কথা?
(চোখে কেমন একটা সন্দেহের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়ে।)
: না, তেমন কিছু না। এমনি একটু কথা-বার্তা আর কি।
- time নাই। ফুটেন।
: বেশিক্ষণ নিব না। এইতো.. ধরেন.. ১০ মিনিট।
- আপনে সাংবাদিক?
: না তো।
- যাহ্ বেটা। ভাগ।
আমি একটু থতমত খেয়ে পিছিয়ে আসি। চলে যাই না। তাকিয়ে থাকি একদৃষ্টে। একটু মনে হয় করুণা হয় তার। একটু পর ডাক দেয়।

আঁধার ঘরে আলো জ্বালি তোরে দেখার আশায় (কথোপকথন-২)

- ন্যা.. ন্যা।
: এমন করে না।
- না.. না.. না।
: লক্ষীটি এমন করে না তো।
- এটা আমার চাই। দেও না। দেও..
ন্যা.. ন্যা..

অসম্ভব রূপবতী একটি আঠারো- ঊনিশ বছরের মেয়ের কাছে প্রায় কাছাকাছি বয়সেরই একটি ছেলে একগুঁয়ের মত কিছু একটা চাইতে থাকে। মেয়েটি যথাসাধ্য চেষ্টা করতে থাকে ছেলেটিকে বোঝানোর। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না। বরং মাঝে মাঝে ছেলেটি হাত-পা ছুড়তে থাকে। মেয়েটি কিছুটা থমকে যায়। তবু হাল ছাড়ে না। আবার-ও বোঝাতে শুরু করে। আমার মত কিছু সুবিধাবাদী লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মেয়েটির অসহয়াত্ব দেখতে থাকি। পাশের থেকে একটি স্যুট পরা ভদ্রবেশী মানুষ মন্তব্য ছুড়ে দেন.. "এহ্!! কি আল্লাদ!!"

প্রহর শেষের রাঙা আলোয় (কথোপকথন-১)

- এই শুন।
: কী?
- আমার না খুব ইচ্ছা। আমার খুব শখ..
: কী?
- নাহ্। থাক। লাগবে না।
: আরে বল না!!
- নাহ্।
: শুন। আমি বলি। তুমি এত লাজুক! তোমার আসলে মেয়ে হওয়া উচিত ছিল। আর আমি ছেলে। তাহলে ঠিক হত। তুমি সব সময় লজ্জা পাও। সবকিছু আমাকেই করতে হয়।
ছেলেটি মনে মনে আবারও লজ্জা পায়।
মেয়েটির অনেক গুঁতোগুতির পর সে বলতে শুরু করে..

আনন্দযজ্ঞ মঙ্গলালোকে

রাত- ২.৩০ টা।
দূরে কোথাও রেডিও-তে গান বাজছে। “ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু.............”
মেজাজ এমনিই খারাপ। তার উপর আবার গান, খালি ভালোবাসা-বাসি। বন্ধুত্ব নাই। কেবল-ই প্রেম!
শাওনের মেজাজ আরো খারাপ হতে থাকে। প্রাইভেট হাসপাতাল। চারদিকে সুনসান নীরবতা। শুধু দূরে কোথাও থেকে গান ভেসে আসছে। বিকেল থেকে ছুটোছুটি। ভাইয়া প্রাইভেট প্র্যাকটিসে চট্টগ্রাম। ভাবির ব্যাথা উঠেছে। বাসায় কেউ নেই। বাড়ির দারোয়ানটা-ও ঈদের ছুটি নিয়ে গ্রামে। একলা বাসায় ভাবিকে নিয়ে বিপদেই পড়া গেল। ভাইয়ার ফোন এনগেজ্‌ড। মনে মনে এক প্রস্থ গালি দেয় শাওন। মুখে শুধু বলে “শালা! এমন অবস্থায় কেউ বউকে একলা ফেলে রেখে যায়! শুধু টাকা!”

১লা ডিসেম্বর ও একটি কাল্পনিক গল্প

ছোট ছোট টিনের ছাউনি দেওয়া খুপরি মতন অনেকগুলো ঘর। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের শখের নাম 'ডর্মেটরি'। এখানে শখ নেই, এখানে স্থুল বাস্তবতা। কয়েকটি ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, বাকিগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন নারী। কারো বয়সই ৩০-এর বেশি হবে না। কয়েকটি ১২- ১৪ বছরের বালিকাকেও দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেকের শরীরে কেমন যেন একটা হেরে যাওয়া মানুষের প্রতিচ্ছবি। সবারই মুখে প্রচুর পরিমাণ পাউডার দিয়ে সাদা হওয়ার চেষ্টা, আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক-এর ছোঁয়া। কয়েকজনের মুখে আবার কিছুটা লেপ্টানো। বাইরে বাজার।

নতুন আলোর উন্মেষের প্রতীক্ষায়

নতুন বছরে নতুন নতুন সম্ভাবনা। নতুন আশা, নতুন দিন। নতুন প্রত্যাশা, নতুন ভালোবাসা।
সবাইকে নতুন দিনের মিছিলে স্বাগতম। এসো নতুনের জয়ধ্বনিতে মাতি। নিজ থেকে, নিজের মন থেকে, নিজের প্রয়োজনে।
পুরোনো কিছু কথা বলি.. নিজের মত করে, কারো ব্যক্তিগত মতামতে হানা না দিয়ে, কাউকে আঘাত না করে।
আমাদের এই দেশ অনেক স্বপ্নের দেশ, ভালোবাসার দেশ, "হৃদয়ে বাংলাদেশ"।
এই দেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্খা। পূরণ হয়েছে কতটুকু তার? আমাদের কী খুব বেশি চাওয়া ছিল? আমাদের কী খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল?

প্রশ্নবোধক আমি??

কাল তার সাথে দেখা হল। সে এসেছিল ঢাকায়, পরীক্ষা দিতে। কাল ছিল একটি বিশেষ দিন। আমাদের দু'জনের জন্যই। কাল প্রথমবারের মত, আমরা একসাথে ঢাকায় রিকসা নিয়ে ঘুরলাম। হেঁটে বেড়ালাম, কিছুক্ষণ। ভালোলাগা অনুভূ্তি।

অনেকদিন আগে সে আমাকে একটি ডায়রী দিয়েছিল। লেখালেখি করার জন্যে। কিন্তু আমি যথারীতি ফাঁকি দিয়ে এতে আমাদের স্মৃতিকথা দিয়ে ভর্তি করে ফেললাম!!!

ব্লগ নিয়ে কিছু কথা ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের শুভকামনা

আমি খুব ইরেগুলার। সবখানেই। ভাত খাওয়া থেকে শুরু করে ঠিকমত পড়াশুনা করা, মাকে ফোন করা থেকে আরম্ভ করে ও-কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। সবকিছুতেই আমার আলস্য, সবকিছুতেই আমার প্রচন্ড রকম ছেলেমি। তাই ৪ সপ্তাহ আগে দেওয়া এসাইনমেন্ট আজ রাত ১২ টার মাঝে জমা দেয়ার কথা থাকলেও আমি কাজ ৩০% করে সিনিয়র ভাইয়ার দাওয়াত আমি উপেক্ষা করতে পারিনা। সবাই মিলে তাই চলে যাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করতে। সব শেষ করে এসে আমার এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া হয় একটু আগে ৪টার দিকে।
ইরেগুলার বলেই হয়তো রোজ ব্লগ লেখা হয়না। রোজ ব্লগ পড়া হয়না। তাই আজ হঠাৎ করে যখন সময় পেলাম, ঢুকে পড়লাম স্বাধীন এক জগতে। যেখানে আমি পারি আমার ইচ্ছেমত লিখতে, যা মনে হয়, যা বিশ্বাস করি, যা দেখি তাই নিয়ে লিখতে পারি।

৩০ মার্চ, ২০১০

মতামত পোস্ট

ব্লগটি সম্পর্কে যেকোন মতামত নিচে মন্তব্য আকারে জানান। সকল সমালোচনা, সুপরামর্শ সাদরে গৃহীত।

ধন্যবাদ।

অনুরোধের আসর

এই পোস্টটি মূলত: অনুরোধের আসর পাতায় মন্তব্যের অসুবিধার কারণে তৈরি। আপনাদের প্রয়োজন জানিয়ে এখানে মন্তব্য করতে পারেন। মূল পাতায় সংযুক্ত করা হবে।
 
এখানে প্রকাশিত লেখা অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও পুন:প্রকাশ করবেন না। কোন লেখা বেশি পছন্দ হলে নিজের মনে করে নিয়ে যাবার বেলায় একটু জানিয়ে যাবেন।
ব্যক্তিগত অনুভূতির সাথে একীভূত কোন লেখা অন্যত্র শেয়ার করতে পারেন।


Copyright 2009 মুক্ত বয়ান. Powered by Blogger Blogger Templates create by Deluxe Templates. WP by Masterplan modified by Mukto Boyan