দৃষ্টি আকর্ষণ: বিভিন্ন ব্লগে নানা সময়ের লেখাগুলো এখানে জমা প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকটি পাতা এখনো অসম্পূর্ণ। খুব শীঘ্রই সবকিছু সম্পন্ন হবে। ফিডব্যাক জানাতে পারেন এখানে।

২ এপ্রিল, ২০১০

অকথনকথনপটিয়শস- দ্বিতীয় সংখ্যা

২০ রবিউস সানি, ১৪৩০ হিজরি
১৭ এপ্রিল ১০, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ
৪ বৈশাখ, ১৪১৬ বাংলা

সম্পাদক হিমালয়৭৭৭
সহসম্পাদক মুক্তবয়ান কর্তৃক প্রকাশিত

সম্পাদকীয়:
প্রেস্টিজিয়াস ইস্যুই বটে, সম্পূর্ণ একটা সংখ্যা প্রকাশিত হল, অথচ ই-চপের কোন মূল শ্লোগান নেই! এ নিয়ে ব্যাপক বাক-বিতণ্ডা এবং চায়ের কাপে সিডোর তুলার পর অনেকগুলো শ্লোগান তৈরি করা হয়, কিন্তু মূল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন ঐক্যমত্যে পৌছুতে পারিনি আমরা- বাংলা ব্লগিংয়ের একমাত্র দিকপাল এই ই-চপের এমন শ্লোগানবিহীন অগ্রযাত্রা কোনভাবেই কাম্য হতে পারেনা, সুতরাং বিশেষ ক্ষমতাবলে এই সংখ্যার শ্লোগান নির্বাচন করা হল- ‘বদলাবো না, বদলা নেব’। তবে উগ্র ফ্যাসিস্টরা বদলাকে বদনা’তে পরিবর্তিত করে শ্লোগানকে বিকৃত করতে পারে, এমন আশঙ্কায় বদনা ছাড়্ আন্দোলনের অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছি ই-চপের সকল গ্রাহক ও শুভান্যুধায়ীকে। যাইহোক, আসমাপ্ত ১১৩৯টি খসড়া সম্পাদকীয় নীতিমালার কযেকটি গতসংখ্যায় উল্লেখ করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় এ সংখ্যায়ও কিছু নীতিমালা শেয়ার করছি:
৩. পুঁজিবাদের প্রতিভু ও ব্লগারদের মধ্যে শ্রেণীবৈষম্য সৃষ্টিকারী(?) স্টিকি পোস্টের তীব্র বিরোধী মনোভাব থেকে, ই-চপের কোন সংখ্যা স্টিকি হয়ে গেলে, তৎক্ষণাৎ সংখ্যাটি ড্রাফট করে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কাম্য।
৪. ব্লগারদের মেধা ও মননের বিকাশকে সহায়তা করতে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা পোস্টদাতাকে পুরস্কৃত করার মহা পরিকল্পনা আছে আমাদের। সাময়িকভাবে, পুরস্কার হিসেবে কয়েকঘন্টার মধ্যে প্রথম পাতায় একসেসের নিশ্চয়তায় আকর্ষণীয় নিক প্রদান করা হবে!!
৫. ব্লগীয় ও অন্যান্য দায়বদ্ধতা থেকে ব্যান তহবিল, ভবঘুরে সভা, ভাষা প্রতিযোগ, লুডু অলিম্পিয়াড প্রভৃতি পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে। এছাড়া দুস্থ ও নতুন ব্লগারদের উৎসাহিত করতে ই-চপ সংখ্যায় প্রাপ্ত মন্তব্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ তাদের ব্লগে পেস্ট করে হিট বৃদ্ধির বন্দোবস্ত করা হবে।

আজকের মত নীতিমালা এখানেই শেষ। ‘বদলাবো না, বদলা নেব’-শ্লোগানে নিরন্তর ছুটে চলবে ই-চপ, আপনাদেরই শুভকামনা অথবা অপবাদে সিক্ত হয়ে।



ফুলকপি- জাতিগত সত্ত্বায় মিশে আছে সস্তায়
-হিমালয়৭৭৭
ফুলকপি নামটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে বহুমাত্রিক আইডেন্টিটির অপার সম্ভাবনা- ফুল, ক, এবং পি। এটি হতে পারত গোলাপ অথবা গন্ধরাজের মত কোন সুদৃশ্য ফুল, কিংবা হতে পারত তসলিমা নাসরিনের সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘ক’ এর কোন সংস্করণ, সর্বোপরি ইংরেজি লেটার ‘p’ । হ্যা, এই সেই ‘p’- passion, pure, pleasure কিংবা parent এর মত হৃদয়গ্রাহী ও চিরসবুজ শব্দগুলো লিখতে হলে যার কাছে আমাদের ফিরে যেতেই হবে। অথচ, ভাবতে অবাক লাগে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এই বিরল প্রজাতির সবজিটির ব্যাপারে মোটেই কৌতূহলী নয়- আলু, পটল,করল্লা, আর শিমের মত আপাত আন্তঃসারশূন্য সবজিগুলো তাদের মোহগ্রস্থ করে রেখেছে। আরও বিস্মিত হই, যখন জীবনানন্দ দাশের মত প্রকৃতি সচেতন কবির ভান্ডার তন্নতন্ন করে খুঁজেও ফুলকপি নিয়ে একটি লাইন পেতে ব্যর্থ হই- এই কি তবে লেখকের সমাজ ও জাতীয় চেতনা? আজ কর্পোরেটকরণ সর্বত্র; আমাদের অনুভূতিকে জিম্মি করে তারা বিভিন্ন রান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, যেখানে ফুলকপি ভাজি থাকে প্রধান আইটেম, যদিও এই ফুলকপি ভাজি রান্না করার ক্ষেত্রে ন্যুনতম আন্তরিকতাবোধ পরিলক্ষিত হয়না রাধুনীদের আচরণে।
ইতিহাস ফুলকপিকে কিন্তু ঠিকই স্থান দিয়েছে; তিতুমীর তার বাঁশের কেল্লায় সঙ্গীদের নিয়ে নিয়মিত ফুলকপি ভাজি দিয়ে রুটি খেতেন বলে জনশ্রুতি আছে, গান্ধী-সুভাষ বসুও কখনো ফুলকপিকে অবজ্ঞা করেননি- আজকের দিনে কেন তবে ফুলকপিকে আড়ালে যেতে হয় ঢেড়সের মত একটি অশ্লীল সবজির প্রতাপে! ফুলকপির সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কি কোনই ভূমিকা নেই?


মশাকে বাঁচতেই হবে, মাছি ও ছারপোকাকে দৌড়ানি দেবার জন্য হলেও..
-হিমালয়৭৭৭
“ছাত্রলীগকে বাঁচতেই হবে অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে হলেও’- জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এরকম একটি লেখা নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে ঘরে-বাইরে, ঠিক তখনই জনৈক আজগর আলীর বাড়িতে চলছে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। বৃষ্টির দিনে ছারপোকা ও মাছির তান্ডবে তার ঘরে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করত; উপরন্তু মাছি-ছারপোকা একাট্টা হয়ে প্রতিপক্ষ মশাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল পুরো মৌসুম, কিন্তু পালাবদলের পরিক্রমায় মশারা বাড়ির নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে নির্বিচারে মাছি ও ছারপোকা নিধনযজ্ঞ শুরু করে দেয়। এটা শুভকর কিনা সেটা তর্কসাপেক্ষ হলেও, মশার রক্তচোষা মনোভাবের শিকার হয়ে আজগর আলীর স্ত্রী ও মেয়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ১ সপ্তাহ যাবৎ । এমতাবস্থায় আজগর আলী মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা শুরু করলে কয়েকটি বিদ্রোহী মশা নিহত হয়, আর এতে করেই গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী বিড়ালগুলো ‘মশা অধিকার’ রক্ষায় সোচ্চার হয়ে উঠে বাড়িময় মিউমিউ আওয়াজে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রয়াস চালাতে থাকে, যদিও তাদের এই সুবিধাবাদী মিউমিউকে দু-একটি সাংবাদিক ইদুর ব্যতীত কেউই কোন আমলে আনেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক ইদুরের কাছ থেকে জানা যায়- বিড়ালদের ভাষ্যানুযায়ী, যেহেতু ছারপোকাও মানুষের রক্ত খায়, এবং মাছি সাধারণত টয়লেট-ডাস্টবিনের মত নোংরা স্থানে বসবাস করে রোগ-জীবাণুর বাহক, সুতরাং তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য হলেও মশাকে টিকে থাকতে হবে; আর সার্ভিস চার্জ হিসেবে মানুষের রক্ত যদি তারা পান করেও থাকে, সেটা তাদের প্রাপ্যই ধরে নিতে হবে। মশা টিকে থাকলে বিড়ালের সুবিধা কী, জানতে চাইলে উক্ত ইদর কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। ধারণা করা হচ্ছে, মশারা যেহেতু এ মুহূর্তে শক্তিশালী, তাই তাদের মনোরঞ্জন করে নিজের আখের গোছাতে চাইছে বিড়ালগুলো, যদিও কথিত আছে এই একই বুদ্ধিজীবী বিড়ালগুলোই মাছি-ছারপোকার রাজত্বকালে মশার বিপক্ষে বিড়ালবন্ধন পালন করেছিল। বিড়াল বুদ্ধিজীবীদের নীতি বোঝাটা আসলেই দায়, বোধকরি এজন্যই ‘বিড়াল তপস্বী” শব্দটির উদ্ভব হয়েছিল।


"ও বৈশাখ, তুমি ক্যান আসো?? কেনো আমাদের এতিম করে দাও!!"
-মুক্তবয়ান

এইটা আসলে কোন মানুষের উক্তি না!! এটা কোন এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণীর উক্তি, যাদের শরীর কিছুটা ছোট ছোট গোল চাকতি দিয়ে ঢাকা, যাদের গাত্রবর্ণ কিছুটা সোনালী, যাদের গায়ে কিছুটা আঁশটে গন্ধ!! যথার্থই ধরতে পেরেছেন আপনারা.. আমাদের অতিপ্রিয় খাদ্য ইলিশের কথাই বলা হচ্ছে এখানে!!
প্রতি বছর এই বৈশাখের হুজুগে নাকি প্রচুর জাটকা শিশুরা অনাথ হয়ে যাচ্ছে!! এমনিতে রোজ রোজ শিশুরা তাদের মা-বাবাকে হারায়, অনেক পিতামাতা আবার কিছু লুল জাতীয় মানুষের রসনা তৃপ্ত করতে সদাচেষ্টদের পাতা ফাঁদে তাদের না-ইলিশ জাটকাদের হারিয়ে ফেলছে!! কিন্তু, তারা জানে, এটাই তাদের নিয়তি। তাই তারা এই নির্মম পরিণতিকে মেনে নিয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ প্রতিবছর চৈত্রের একেবারে শেষ দিকে তাদের উপর দলবদ্ধ আক্রমণ শুরু হয়, চলতে থাকে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাস অবধি। বিজ্ঞইলা'গনের মাধ্যমে ইলিশ প্রজাতি জানতে পারে, নতুন বছরের প্রথম দিনে যারা নাকি কখনো ভাত-মাছ চোখেও দেখে নাই.. সেই সমস্ত উচ্চ শ্রেণীর ডিজুস প্রজন্ম একদিনের বাঙালীয়ানায় রসনা তৃপ্ত করতে মগ্ন হয়!! তাই, তাদের কারণে বিশেষ বিশেষ জায়গায় ভাল মাছ চলে যায়, আর যাদের উপর মাছের আজন্ম ক্ষোভ, সেই জেলে সম্প্রদায়ের শিশুরা নাকি এই মাছ কখনো চোখেই দেখে না!!
তাই, ইলিশ প্রজাতির দাবি.. তারা যখন ডিম ছাড়তে মিঠি পানিতে আসে সেই চৈত্র-বৈশাখ মাসে নববর্ষ পালন না করে, বরং ভাদ্র-আশ্বিন-র মত কাঠফাটা রোদে তালের বড়া দিয়ে নববর্ষ পালন করা হোক!!


আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!!
-মুক্তবয়ান

গত কিছুদিন যাবৎ তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার মাধ্যমে আমরা এবার কারেন্টকেই নির্বাচিত করেছি বিজয়ী হিসাবে!! নিত্যদিন পানি নাই, বিদ্যুত নাই, নিরাপত্তা নাই.. এত কিছু নাই নাই, তাই আমরা আনন্দে তালি বাজাই!!
এইবার "অন্ধকার প্রতিযোগিতা"য় প্রায় ২ জন(!!) অংশগ্রহণ করেছিল। আমাদের পত্রিকায় যেহেতু কুপন কাটা-কুটির ব্যবস্থা নাই, আর এস.এম.এস-র ব্যবস্থাও নাই। তাই, একমাত্র ভরসা সামনা-সামনি কথাবার্তা!! সেখানেই আমরা বিজয়ী নির্বাচন করলাম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিল সুপরিচিত IPS ও Generator. তাদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি এত শব্দময় হয়ে উঠেছিল দর্শকগণ অতিষ্ট হয়ে গেলেও তারা কেউই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেননি!! কারণ তাদের আগে থেকেই বলা হয়েছিল, এবার অনুষ্ঠানের শেষে নৃত্য পরিবেশন করবেন সুদূর নোয়াখালি থেকে আগত হারিকেন!! হারিকেনকে সাথে নিয়ে আসেন আমাদের অন্য বিশেষ তারকা চার্জ লাইট!! এসময় অবশ্য ছবিতে হারিকেনকে চেনা যাচ্ছিল না। কারণ, তার সারা গায়ে তখন কাপড় পেঁচানো!!
অনুষ্ঠানে গান ছিল ১৮টি, তার মধ্যে ৩টি তাৎক্ষণিক!! এদের মধ্যে ২জন গায়কের আবার সামনে অগ্নিপরীক্ষা। একটু পর বিদ্যুৎ চলে যাবে। তাই যথাসময়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হতে হবে!! এ দু'জন ছিলেন "জ্বালো" মোমবাতি আর "হতাশা" ম্যাচ!!
এরমাঝেই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি, অতি সুপ্রাচীনকাল থেকে এখনও আমাদের নিয়মিত সেবা দেওয়ার জন্য কেরোসিনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়!!
অনুষ্ঠানের শেষ হত হয়ত আরো দেরিতে কিন্তু, বিদ্যুত যখন পুরষ্কার নিতে মঞ্চে উঠলেন, তখন তার প্রতিদ্বন্দি লোডশেডিং সমস্ত বিচারকার্জের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে কাজে নেমে পড়েন!!


বিজ্ঞাপন:
১.
*************** ৮০% ডিস্কাউন্ট্****************
একটি পুটি মাছ কিনলে আপনি পাবেন ৮০% ডিস্কাউন্ট্!!!
এক তালা চিংড়ি মাছ কিনলে সাথে পাবেন একটি লাইফবয় সাবান!!
************আরো আছে গ্রাহকদের জন্য************
একটি বোয়াল মাছ কিনলে আপনার জন্য আছে একটি নতুন
‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌..................... প্লাজমা টিভি ........................
প্রত্যেকটি তিমি মাছের সাথে পাবেন এক বছরের জন্য
______অকথনকথনপটিয়শস পত্রিকা ফ্রি_______

‍‍‍‍=======আজই আসুন যোগাযোগ করুন========
মুক্ত বয়ান ফিস মার্ট
বসুন্ধরা সিটি
পান্তপথ, ঢাকা
কবিতার আড্ডা

২.
ছন্নছাড়ার কবিতা

৩.
বিশিষ্ট জ্ঞানগর্ভ আলোচনা!!

যেহেতু, আমাদের দ্বৈত নীতি নাই। তাই, সকলের বিজ্ঞাপনই প্রকাশ করা হবে!!

প্রথম সংখ্যা

প্রথম প্রকাশ: ১৭-৪-'০৯ ইং
http://www.somewhereinblog.net/blog/muktoBoyan/28939286 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
এখানে প্রকাশিত লেখা অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও পুন:প্রকাশ করবেন না। কোন লেখা বেশি পছন্দ হলে নিজের মনে করে নিয়ে যাবার বেলায় একটু জানিয়ে যাবেন।
ব্যক্তিগত অনুভূতির সাথে একীভূত কোন লেখা অন্যত্র শেয়ার করতে পারেন।


Copyright 2009 মুক্ত বয়ান. Powered by Blogger Blogger Templates create by Deluxe Templates. WP by Masterplan modified by Mukto Boyan